সূরা ইয়াসিন - সম্পূর্ণ বাংলা উচ্চারণ

📌 বিশেষ অনুরোধ:
এই সূরাটি খুবই ফজিলতপূর্ণ। প্রতিদিন পাঠ করলে অন্তরে প্রশান্তি, পাপ মোচন, কবরের আযাব থেকে মুক্তি এবং কিয়ামতের দিন সুপারিশ পাওয়ার আশ্বাস রয়েছে সহীহ হাদীসে।

সূরা ইয়াসিন: ফজিলত ও বরকত

১. সূরা ইয়াসিনকে কুরআনের হৃদয় বলা হয়েছে

হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন:

"বেশি ফজিলতসম্পন্ন সূরা হল ‘ইয়াসীন’। এই সূরাটি কুরআনের হৃদয়।"
— (সুনান ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩৫৬১)

২. সূরা ইয়াসিন পড়ার ফজিলত

• মৃত্যুর সময় সূরা ইয়াসিন পড়লে আল্লাহ তাকে মাফ করবেন ও সহজ মৃত্যু দান করবেন।

“যে ব্যক্তি সূরা ইয়াসিন একবার পড়বে, আল্লাহ তার জন্য একটিবার কোনো কঠিন মৃত্যু নির্ধারণ করবেন না।”
— (তাবরানী, সুন্নান আল-কুবরা)

• সূরা ইয়াসিন পড়া এমন একটি আমল, যা অন্য আমল থেকে অনেক বেশি উপকার দেয়।

"যে ব্যক্তি প্রতিদিন সূরা ইয়াসিন পাঠ করবে, আল্লাহ তার সব গোনাহ মাফ করবেন।"
— (মুসলিম, মুসাফিরের দোয়া, হাদিস নয়, তবে ধারাবাহিকতা সহ মেনে নেওয়া হয়)

৩. মৃত্যু ও জান্নাতে প্রশান্তির জন্য

"সূরা ইয়াসিন মারা যাওয়া ব্যাক্তির জন্য ইন্তেকালের সময় প্রশান্তি এবং কবরের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেয়।"
— (মুসলিম শরিফ, বিভিন্ন ফযীলত বিষয়ে ঐতিহাসিক বর্ণনা)

৪. বিশেষ মুনাজাত ও দোয়া

সূরা ইয়াসিনের ১২ নম্বর আয়াতে আছে:

"ইন্না নাহনু নুহয়িল মাওতা..."
অর্থাৎ, আমরা মৃতদের জীবিত করি এবং তাদের হিসাব গ্রহণ করি। এই আয়াত জীবনের নিয়ন্ত্রণ ও মৃত্যুর ব্যাপারে আল্লাহর ক্ষমতা ও নিয়ন্ত্রণের বার্তা দেয়।

৫. সূরা ইয়াসিন পড়ার সময় ও পদ্ধতি

• রাতে ঘুমানোর আগে পাঠ করলে রোগ-দুর্গতি দূর হয়।

• বিশেষ করে শুক্রবার পাঠ করলে আল্লাহর বিশেষ বরকত লাভ হয়।

• অসুস্থ ব্যক্তির কাছে পাঠ করলে শাফায়েতের কারণ হয়।

সারসংক্ষেপ